সুনামগঞ্জের ছাতকে টান দিয়ে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ছাতক থানার ওসি মাহবুর রহমান ও এসআই মহিন উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ জাউয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে আব্দুল জলিলকে (৫৫) আটক করে।
আটক আব্দুল জলিল উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির হরিপুর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপির কটালপুর গ্রামে মৃত তেরাব আলীর ছেলে বাদশা মিয়া তার একটি গরু নিয়ে জাউয়াবাজারে বিক্রি করতে যান। তার গরুটি জাকারিয়ার গায়ে আঘাত দেওয়ার ঘটনায় বাদশা মিয়া ও জাকারিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি কিল, ঘুসি ও পরে আব্দুল জলিল ও জাকারিয়ার মিলে বাদশা মিয়ার অণ্ডকোষ টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।
এ ঘটনার পর আশপাশে লোকজন আহত বাদশা মিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনায় আহত বাদশা মিয়ার পিতা নুরুল আমিন বাদী হয়ে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির হরিপুর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫) ও তার পুত্র জাকারিয়াকে (২২) আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পুলিশ মঙ্গলবার আব্দুল জলিলকে তার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এসআই মহিন উদ্দিন আসামি আটকের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে ওসি মাহবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।